৭ জুলাই ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): সজিব মিয়া অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে মেয়েটি। সেই প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের সজিব মিয়া। সে মোশারফ হোসেনের ছেলে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটির ওপর উত্ত্যক্তের মাত্রা বাড়তেই থাকে দিনকে দিন। মাত্রা এতটা চরমে পৌঁছায় যে গত শনিবার মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার পথে গতিরোধ করে জোরপূর্বক তাকে মোটরসাইকেলে উঠানোর চেষ্টা করে। মেয়েটি নিজেকে রক্ষা করে দৌঁড়ে বাড়ি ছুটে যায়।
তারপর বাড়ির সবাইকে ঘটনা বললে, তারা স্থানীয় মাতাব্বর মারফত বিষয়টি বখাটে সজিবের ভগ্নিপতিকে জানায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় সজিব। এরপরই মেয়েটির বাড়ি গিয়ে সবাইকে গালিগালাজ ও একপর্যায়ে বাড়ির সবাইকে বেদরক পেটায় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়ের দাদাকে আঘাত করে আহত করে।
এ ঘটনার পরপরই মেয়েটির পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে শনিবার দিনগত রাতে সজিবকে আটক করে পুলিশ।
কিন্তু সজিব গ্রেপ্তার হলেও আতঙ্ক কাটেনি মেয়েটির পরিবারের। মেয়েটির মা ভয়ার্ত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা বাড়ি ছাড়া। বখাটে সজিবের হামলার পর কোনমতে নদী পার হয়ে বেঁচে ফিরেছি। আমরা হিন্দু মানুষ। ওর (মেয়ে) বাবা বিদেশে থাকে। ভবিষ্যতে কি হইবো জানিনা। আমরা এলাকায় থাকতে পারবোতো?
এদিকে ওই এলাকার স্থানীয়দের বরাত ও থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সজিব ছোট বেলা থেকেই বখাটে স্বভাবের। ইতোপূর্বে সে মেয়েলি বিষয়ে একই গ্রামের আরেকটি মেয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলো। এছাড়াও বিভিন্ন সময় নানা কারনে মারামারির রেকর্ড রয়েছে সজিবের।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুল হক জানান, উত্ত্যক্তকারী সজিবকে আটকের পর রোববার তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় দায়ের করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply